Leave a comment
Welcome to Anuswar
আড়প্রথমে
তোর সাথে সেই প্রথম দেখা
কলেজ করিডোরে,
আড়চোখেতে তাকিয়ে ছিলিস
নিজেকে আড়াল করে।
তুই ভেবেছিলি জানতে পারিনি
বুঝতে পারিনি কিছু
কলেজ ফেরতা রাস্তাতে
রোজ আসতি পিছুপিছু।
সেদিন ছিল কলেজ ছুটি
দিনটা ছিল রবি,
খাতার ভাঁজে ছোট্ট লেখা
‘আমার পাগলী হবি?’
মিশ্র সে এক অনুভূতির
নামলো মনে ঢল
ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসি
চোখের কোণে জল।
পৃথিবীতে কে আছে আজ
আমার থেকে সুখী
কমনরুমেই আবার দেখা
দু’জন মুখোমুখি।
প্রশ্ন এলো, ‘সারাজীবন থাকবি
আমার বাড়ি?
অনেক খানি বাসবো ভালো
একটুখানি আড়ি।’
ভালোলাগার পরত জমে
মনটা ভারী হয়
বুঝতে কি আর রইলো বাকি
আর কি দেরি সয়?
অনুভূতির প্রকাশ হলো
ভাঙলো যত বাধ
তোর সঙ্গেই বৃদ্ধ হবো
এখন আমার সাধ।
কবিতার সাতকাহন
স্মৃতি মোড়া পথ, না রাখা শপথ,
ফেলে আসা একফালি মন।
ফাল্গুনী ফুল, কিছু ভুলে যাওয়া ভুল
কবিনীর যামিনী যাপন।
পৌষালী শীত ছোঁয় টুকরো অতীত
আর কিছু জমে থাকা ঋণ,
সময়ের দায়,আজ বড় অসহায়,
প্রেমও তাই বিরহ-বিহীন।
মাথা কুটে মরে চিলেকোঠা ঘরে
বেশ কিছু সহনীয় স্মৃতি,
কিছু তার ওড়ে অসময়ী ঝড়ে
বাকিদের পরজীবী ভীতি।
পিছুটান
সূর্য যখন অস্তগামী প্রায়,আকাশ জুড়ে নিঃসীম ধূসরতা,
কিছু পিছুটান রূপ রং বদলায়, ছায়া এঁকে যায় বহুদূর নীরবতা,
মনের ভেতর অবিরাম বয়ে যায়, প্রতীক্ষাদের একলা সে এক নদী,
সরিয়ে যত বাধার প্রাচীর হায়, মলয় সমীর বইতে পারতো যদি,
হয়তো সেদিন ভিজতো মরুবুক, তৃপ্ত হতো পিপাসিত মনভূমি,
বোঝাতে পারিনি যে রং আঁকে সুখ, আমার আকাশে সে রঙটুকু তুমি