[এই সময়ের তরুণ কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে, বিশেষ করে মান্দি সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম তরুণ লেখক মিঠুন রাকসাম। গারো ভাষার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যেও তিনি সমানতালে লিখে চলছেন। বাংলা সাহিত্যে শূন্য দশকের একজন সফল কবির নামও মিঠুন রাকসাম। কবিতা লেখার পাশাপাশি ছোট গল্প ও গবেষণামূলক লেখায় নিয়োজিত রয়েছেন কায়মনোবাক্যে। ২০০৭ সাল থেকে সম্পাদনা করে যাচ্ছেন মান্দি সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ছোট কাগজ ‘থকবিরিম’ যেটি বর্তমানে প্রকাশনা রূপ লাভ করেছে। প্রতি বছর থকবিরিম থেকে মান্দি লেখক-সাহিত্যিকদের মানসম্মত বই বের করার চেষ্টা করছেন। মিঠুন রাকসাম ১৯৮৪ সালের ১৫ নভেম্বর শেরপুর জেলার ভাটপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। গল্পের বইটি একটি এবং গবেষণাধর্মী বই একটি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো, ‘মন্ত্রধ্বনি’, ‘শিঙ্গালাগানী মেয়ে’, ‘যমজ স্তনের ঘ্রাণে বালকের জীবন’, ‘দলিলে ভাটপাড়া গ্রাম’, ‘মুখ না ধুয়ে লেখা কবিতা’, ‘গন্ধচোর।’ গল্পগ্রন্থ-শিকড়ে খড়া, গবেষণা গ্রন্থ-মান্দি জাতির পানীয় ও খাদ্য বৈচিত্র। বর্তমানে গারো মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি বই প্রকাশের কাজে নিয়োজিত আছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ম্যাগডিলিনা মৃঃ ]
অনুস্বর: এইসময়ে বাংলাদেশের উলেখযোগ্য আদিবাসী তরুণ কবিদের মধ্যে আপনিও একজন। এই অর্জনকে কেমনভাবে দেখেন?
মিঠুন রাকসাম: কয়েকজনের মধ্যে একজন কিনা বলতে পারব না, তবে আমি লিখতে এসেছি! লিখে যাচ্ছি এই আর কি! অজর্ন তো এখনই বলতে পারব না, মাত্র শুরু করলাম। দেখা যাক কতদূর যাওয়া যায়!
অনুস্বর: আমার জানা মতে বাংলাদেশে গারো সাহিত্যের প্রথম ছোটকাগজ ‘থকবিরম’ আপনার মাধ্যমেই আত্মপ্রকাশ করেছে। বিগত বছরগুলোতে ‘থকবিরম’ থেকে গারো লেখকদের বই প্রকাশিত হয়েছে। থকবিরম সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানতে চাই।
মিঠুন রাকসাম: থকবিরিম নিয়ে কাজ করছি আমরা দুজন। আমার সাথে আছেন কবি লুই চিরান। থকবিরিম নিয়ে অনেক কথাই বলা যায়। তবে থকবিরিম সম্পর্কে যে কথাটা বলা দরকার আমি মনে করি তা হলো- থকবিরিম মূলত গারো শব্দ, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, বর্ণমালা। থকবিরিম বা বর্ণমালা নামটির ভূ-উৎপত্তি গারো সাংস্কৃতিক চেতনা থেকে। তাই গারো ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য সম্পর্কিত লেখাগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ ও প্রচারে আমরা আশাবাদী এবং দৃঢ়বদ্ধপরিকর।
থকবিরিম গ্রন্থ প্রকাশনীর মূল উদ্যোক্তা মূলত আমরা দুজন। আমার সঙ্গে রয়েছেন ফ্রান্স প্রবাসী লুই সাংমা। থকবিরিম শুরুতে শুধু সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গারোদের মধ্যেও অনেক লেখক, কবি রয়েছেন, যারা শুধুমাত্র সাময়িকী বা ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন এবং কতিপয় লেখক বিভিন্ন সময়ে লেখাগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন। আবার অনেকে আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখতে পারছেন না এবং লেখাগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। গারো সমাজে অনেক লেখক রয়েছেন, যারা নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করলে এবং লেখাগুলো নিয়মিত প্রকাশ ও প্রচার পেলে নিজ জাতিকে দেশ-বিদেশে পরিচিত করতে পারবেন।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে অনেকের মুখে গারোদের মালিকানা ও পরিচালনায় একটি গ্রন্থ প্রকাশনী আবশ্যকতার কথা বারবার উঠে এসেছে। তাই সময় এবং নতুন প্রজন্মের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই থকবিরিম প্রকাশনীর আবির্ভাব হয়েছে। থকবিরিম থেকে প্রথম বই প্রকাশিত হয় গারো কবি বচন নকরেক এর-‘ইচ্ছে বন ইচ্ছে পাহাড়’। থকবিরিম প্রকাশনী নবীন হলেও শুধুমাত্র গ্রন্থ প্রকাশনীতেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। গারো ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা সভা ও কর্মশালা আয়োজন করেছে। থকবিরিম ২০০৭-এ ঢাকার কালাচাঁদপুরে প্রথম গারো বইমেলার আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার, কবি ওবায়েদ আকাশ, বিশেষ অতিথি গারোদের বিশিষ্ট লেখকও গবেষক সুভাষ জেংচাম, লেখক সরোজ ম্রং প্রমুখ।
থকবিরিম আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস। থকবিরিমের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে গারো, ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি ও বিকাশকল্পে নিরবিছিন্নভাবে কাজ করে যাওয়া। সেই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গারো লেখকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, প্রচার চালানো, লেখক ও পাঠকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা, লেখক সমাবেশ ছাড়াও নানা কর্ম পরিচালনা করা।
অনুস্বর: ‘থকবিরম’ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
মিঠুন রাকসাম: আশাবাদী বলেই তো নামলাম মাঠে। তবে মান নিয়ে কাজ করতে চাই। এখন সময় বলে দেবে আমরা কতটা কাজ করতে পারব! তবে অনেক কাজ করার আছে! অনেক পাণ্ডুলিপি অনেক বিষয় পড়ে আাছে কাজ করার!
অনুস্বর: খ্রিষ্টধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাব ছাড়াও একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ স¤প্রদায়ের সংস্কৃতির প্রভাবে আদি গারো সংস্কৃতি ক্রমশ সেটির রূপ হারিয়ে ফেলছে এই বিষয় আপনার ভাবনা কি?
মিঠুন রাকসাম: ফেলছে তো বটেই! শুধু ফেলছেই না খেয়ে ছিবরে ছালবাকল ঝুলিয়ে রেখেছে! কিন্তু মজার বিষয় শিক্ষিত গারোরা বুঝতে পারছে না! এই নিয়ে আমি ‘গন্ধচোর’ নামে একটি দীর্ঘ কবিতা লিখেছি। এর আগেও লিখেছি সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।
অনুস্বর: গারো জনগোষ্ঠীর বর্ণমালা সংরক্ষণে আপনারা কোনো কাজ করছেন কি?
মিঠুন রাকসাম: না এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি না। এটা নিয়ে কাজ করার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেমন একাডেমি, টিডব্লিউএ, অনেক ব্যক্তি আছে। আমরা একটি লক্ষ্যকে নিয়ে এগোতে চাই, আর সাদিকেই নজর দিচ্ছি! হয়ত একসময় বর্ণমালা নিয়ে কাজ করতেও পারি তবে আগে পরিকল্পনা মাফিক এগোতে চাই!
অনুস্বর: গারো নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কি ভাবছেন?
মিঠুন রাকসাম: অবশ্যই ভাবছি! আমরা তাদেরকে নিয়েই আমাদের কাজ করতে চাই। আমরা চাই তরুণরা এগিয়ে আসুক আমাদের সাথে কাজ করুক! থকবিরিমে লিখুক! আমাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে-আশা করি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারব। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
অনুস্বর: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এ গারো মাতৃপ্রধান সমাজ ব্যবস্থার টিকে থাকা নিয়ে আপনার একটি বই বেরিয়েছিল ‘গন্ধচোর’। সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে এটা নিয়ে বেশ কিছু আদিবাসী (গারো) তরুণের সঙ্গে আপনার বিভিন্ন আলোচনা দেখেছি। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাই।
মিঠুন রাকসাম: আমি আসলে কবিতায় নিজের কথাই বলতে চাই, আমার সমাজ আমার সংস্কৃতি আমার দেখা চারপাশ। পাহাড় প্রকৃতির কথাই বলতে চাই! সাংসারিক মান্দির কথাই বলতে চাই! মজার বিষয় হচ্ছে আমার গন্ধচোর কবিতার কিছু অংশ ছাপা হয়েছিল বনানী ওয়ানগালা ম্যাগাজিনে। তখনই কবি লেবিসন স্কু এবং কবি বাধন চিরানের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়েছে! আমার লেখার বিষয় নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। আমি আসলে কবিতায় বর্তমানের রূঢ়বাস্তবতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি! কিন্তু কিছু অন্ধেরা তা দেখতে পাচ্ছে না, আবার দেখতে পেয়েও না পাবার ভান করছে কিংবা খ্রিষ্টধর্মের আদর্শ তাদের এমনি অন্ধ করেছে যে বুঝেও তারা বুঝতে পারছে না!
আমি মাতৃতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করি। মান্দি সংস্কৃতিকে মনে প্রাণে ধারণ করার চেষ্টা করি! এটাই আমর গর্বের বিষয়। মিঠুন রাকসাম আসলে মাতৃতন্ত্রকে ধারণ করেই বেঁচে আছে, দাঁড়িয়ে আছে। আমার নামের শেষ অংশ রাকসাম বাদ দিলে আমি কিছুই না, কেউ-ই না। রাকসাম হচ্ছে আমার মায়ের পদবি! এই পদবি জন্ম থেকে সমাধি পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে আমাকে! তাহলে আমি কী নিয়ে গর্ব করছি? মায়ের পদবি ছাড়া তো আমি নিঃস্ব, শূন্য!
অনুস্বর: বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য কোন্ বিষয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
মিঠুন রাকসাম: নিজেদের ভিতর সচেতনতার বোধ তৈরি করতে হবে। আর এই সচেতনতা একদিনে হবে না। এই বোধ বা সচেতনতার জন্য প্রকৃত শিক্ষার দরকার আছে। সংস্কৃতি রক্ষার চিন্তা করার জন্য যে বোধের দরকার সেই বোধ তৈরি করতে হবে তার জন্য শুধু পাঠ্যবই পড়ে ডিগ্রি নিলেই হবে না। আর রাষ্ট্র তো আছেই। আমাদের মতো ক্ষুদ্র জাতি সত্তার মানুষদের সংস্কৃতি রক্ষার বড় দায়িত্ব একমাত্র রাষ্ট্রই নিতে পারে। জনগণ সহায়ক মাত্র!
অনুস্বর: ওয়ানগালা নিয়ে গারোরা এখন অনেক দলে বিভক্ত। আবার অনেক গারো তরুণকে দেখিছি নিজেদের ‘মান্দি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। তারা মনে করে ‘মান্দি’ বলে আলাদা কোনো জনগোষ্ঠী নেই। এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাই?
মিঠুন রাকসাম: ওয়ানগালা নিয়ে দ্বন্দ্ব হচ্ছে তার কারণ একটাই গারোরা তো আর গারো নেই তারা হয়ে গেছে খ্রিষ্টান। ফলে তারা খ্রিস্ট রাজার পর্ব করছে ওয়ানগালা নয়। আবার একশ্রেণির গারোরা তাদের শিকড়ে ফিরে যেতে চাচ্ছে ফলে তৈরি হয়ে যাচ্ছে দ্বন্দ্ব! একদল চাচ্ছে খামাল নিয়ে আদি সাংসারেক ওয়ানগালা করতে আর আরেক শ্রেণি চাচ্ছে গারোরা তো এখন খ্রিষ্টান তাই খ্রিস্টান রিচুয়াল মেনেই হবে ওয়ানগালা! তারা খামালের বদলে ফাদারকে সালজং, তাতারা রাবুগা বানাচ্ছে। এতে সমস্যা হচ্ছে আদি গারোদের প্রকৃত ওয়ানগালাকে হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, উপহাস করা হচ্ছে, ফলে ওয়ানগালা করতে গিয়ে জগাখিচুড়ি করে ফেলছে! আর সাংসারেক মান্দিরা তো ওয়ানগালা বলে না তারা বলে ‘ওয়ান্না’। খ্রিষ্ট ধর্মের চাপে ‘ওয়ান্নাও’ হয়ে গেছে ওয়ানগালা! আমি আমার ‘গন্ধচোর’ বইয়ে এই বিষয় নিয়ে লিখেছি!
মান্দিরা ‘আচিক মান্দি’ বলেই পরিচিত। তারা নিজেদের ‘মান্দি’ বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মান্দি বলেই পরিচয় দেয়। কারণ গারো নামটি অন্যের দেয়া। তারা গারো বললে অপমানবোধ করে, কিন্তু যারা করে না তারা কেন করে না সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়! তবে গারোরা নিজেদের গারো বললে অপমানবোধ করে এটা আমি ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি, জেনে এসেছি। বিশেষ করে যখন আমরা মা-নানিদের সাথে কোথাও ঘুরতে যেতাম তখন কেউ গারো বা গান্নি বললে নানীরা খেপে যেত, রাগ করত, বকা দিত! আমাকেও কেউ গারো বললে রেগে যেতাম! স্কুল থেকে আসার সময় যখন বাঙালি ছেলেরা ‘গারো গারো’ বলত তখন আমার খুব রাগ হতো। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে ঝগড়া হতো খুব! এখনও যে গারো বলে রাগ হয় না ঠিক তা নয়, তবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
অনুস্বর: আপনার লেখালেখির পিছনে মূল অনুপ্রেরণা কি?
মিঠুন রাকসাম: আমি মান্দি ছেলে আমার নিজস্ব ভাষা আছে, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে, আর কী লাগে? প্রেরণা তো আমার নিজ সংস্কৃতিই! আর কিছু লেখক আছেন যাদের লেখা পড়লে মনে হয় আমিও তো লিখতে পারি তাহলে কেন লিখছি না! তবে মূল প্রেরণাটা হচ্ছে ‘আমার শিকড়, আমার সংস্কৃতি’।
অনুস্বর: এই সময়ে গারো তরুণদের উদ্দেশে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কি?
মিঠুন রাকসাম: আসলে আমি নিজেই তরুণ। আমি নিজেই অন্যের পরামর্শ নিয়ে চলছি। তবে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। পড়াশোনা বলতে শুধু পাঠ্যবই নয়, এর বাইরে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য, ব্যক্তির বিকাশের জন্য যে পড়াশোনা সেটির বিকল্প নেই। এই সময়ের তরুণদের বিকাশে এই পড়াশোনা সবচেয়ে বেশি বেশি জরুরী।❐