Leave a comment
Welcome to Anuswar
তুমি কই?
কী কাজ
এতো?
বুনলা? জামাটা?
নকশাকাটা
স্বপ্ন শত?
জানো,
দখিন পাড়ার বাঁধ ভাঙলো
হুড়মুড়ায়ে মাছ আসলো!
বাতর উপচায়ে
বানের জল,
কাঁদায় মাখা
কৈ, কাতল।
শোন না,
সেই দিনের সেই
হাট কালে
পা ভাঙলো-
নবীনের ছেলে?
আসার পথে
দেখি যেয়ে।
দিব্যি আছে!
মাছ মারছে
গামছা দিয়ে।
কই তুমি?
ঘরের মধ্যে খুঁটখাট,
দাওয়ায় এসে বসো না!
কি!
বাঁশের খুটায়
নখ খুঁটাও?
খোলা পিঠে,
মন লুটাও?
বিষ্টি এত
বানও খুব
জল থৈথৈ।
হাঁস মুরগী
লাউয়ের মাচা।
অল্পে বিপদ
অল্পেই বাঁচা।
ঠাণ্ডা হাওয়া?
কাঁপে গা?
মাটির দাওয়ায়
ঝুলিয়ে পা।
আমার বুকে আসো না!
বুকের তাপে ভাসো না!
গত পরশু কী হইলো, জানো?
আমার খুব উথাল পাথাল।
সাড়ে সাতশো বার তোমারে
ডাকার পরেও,
আবার ডাকি।
ডেকে কী সব যে আবজাব বলি।
দমে দমে ডাকি তোমারে।
হাউশ মিটে না।
আমিই বা কী করি!
তুমি যে বাজারে গেলা,
আনাজপাতির সাথে,
ডোপামিন আনছিলা নাকি কেজি খানেক?
সাথে আড়াইশো গ্রাম অসাড়তা?
কি আবেশে যে অবশ ছিলাম!
আর পাগল রকমের তড়িৎ পরিবাহী।
পিঠে হাত রাখলা যেই,
সারা শরীর যেন আড়াইশো ভোল্টের শক।
সেই কথাটাই বলতেছিলাম তোমারে,
মুখে রা ফুটে না
যদিইবা, তোমারে দমে দমে ডাকি,
সাড়ে সাতশো বার ডাকার পরেও
আবার ডাকি।
আমার হাউশ মিটে না, মোটে।