রূপের বাহার হলুদ গাঁদার
কিচিরমিচির পাখির মেলা,
গমের পাতায় , দূর্বাঘাসে
শিশির খেলে সকাল বেলা।
মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে
ছুটে চলে সরিষা ফুলে,
টাটকা টাটকা শাকসবজি
মাঠে- ঘাটে নদীর কূলে।
হিম শীতল ঠাণ্ডা ভাঁপা
দুধ-পুলি, রসের পিঠা,
পাটিসাপটা, চিতই, পায়েশ
খেতে লাগে বড্ড মিঠা।
পুকুর, নদীর জলের উপর
কুয়াশা দেখায় ধোঁয়া ধোঁয়া,
স্বাদ এনে দেয় জিহ্বাতে
নতুন গুঁড়ের মুড়কি মোয়া।
ঘরছাড়া ঐ মানুষগুলোর
গায়ে থাকে না কোনো চাদর,
গরম রোদে খুঁজে বেড়ায়
প্রশান্তির উষ্ণ আদর।
লজ্জায় আর অভিমানে
সূর্যমামা লুকায় মুখ,
মিষ্টি রোদের পরশ দিয়ে
ভুলিয়ে দেই তাদের দুখ।
হাজার মাইল পথ পেরিয়ে
আসে দেশে কুটুম পাখি,
নিরাপদ আর বাসযোগ্য
অভয় অরণ্য করে রাখি।