[জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে]
কতশত যুগ ধরে নিপীড়িত নির্যাতিতের
বিন্দু বিন্দু ক্ষোভ ক্রোধ আর আত্মদানের
পবিত্র রক্ত
সঞ্চিত রেখেছে বাংলার পাললিক ভূমি।
ষড়ঋতুর এই দেশে অগণিত যুদ্ধ হয়েছে
ছোট বড় মাঝারি আকাশের মত
প্রতিবার চাঁদ উঠে তারা ফোঁটে
ক্ষণকাল পরে
অযোগ্য অথবা ষড়যন্ত্রের জালে
নেমে আসে বিদঘুটে অমানিশা।
তারপরও কোন এক একলব্য
অস্তিত্বের তাড়নায় জ্বলন্ত মশাল হাতে
দাঁড়িয়ে যায় সাত রাস্তার
পাঁজরের উপরে
ভাসনে খরায় জর্জরিত অদম্য বঙ্গাল
প্রতিরোধে প্রতিশোধে সাহসের বর্শা হাতে
কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে যায়
নির্দেশের অপেক্ষায়।
এই বার শেষ বার
দ্বি-প্রহরে
জনতার ঘৃর্ণিঝড় নেমে আসে
রাজপথে
বিশাল সবুজ প্রান্তরে
শাসকের নাকের ডগায়
অবশেষে সাহসের শ্রেষ্ঠ সন্তান এসে
জাগ্রত জনতার গৌরব ধারণ করে
উত্তাল সমুদ্রের গর্জনের মতো
হুঙ্কার ছুঁড়ে দিলেন ক্ষমতার দিকে
দশদিক প্রকম্পিত সেই অমোঘ উচ্চারণ
মুহুর্তে আগুনের লকলকে শিখা হয়ে
ছড়িয়ে গেল বাংলার পথে প্রান্তরে।
শত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে
বাংলার আকাশে এখনো
খৈয়ের মত তারা ফোটে চাঁদ উঠে
গভীর গভীরতম নীলে।
হে মহান
আপনার প্রজ্জ্বলিত আলোয়
পথ খুঁজে নেয় সম্ভাবনার সন্তান
আর আপনি
কাল থেকে কালে প্রজন্মের হাত ধরে
বিনম্র সাহসের সাথে
নিয়ে যেতে যেতে বলে যাবেন তারে
হে প্রিয় সন্তান
অস্তিত্বের শেকড়ে করো
আলোর সন্ধান।