অনুস্বর সাহিত্য
জানুয়ারি – মার্চ
প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা
সম্পাদক
শাহ্ জে. চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক
মুবিন খান
দাম: বাংলাদেশে ১৫০ টাকা, যুক্তরাষ্ট্রে ৫ ডলার
আমাদের অনুস্বর পাবলিকেশনস্ এবারে সাহিত্যের হাত ধরে পথে নামল। প্রকাশিত হলো ত্রৈমাসিক ‘অনুস্বর সাহিত্য’র প্রথম সংখ্যা। ‘অনুস্বর সাহিত্য’র পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।
অনুস্বর সাহিত্য’র এটি প্রথম সংখ্যা হলেও যারা অনুস্বর ম্যাগাজিনের সঙ্গে যুক্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করছেন, তারা জানেন অনুস্বর বস্তুত লেখক ও পাঠকদেরই জায়গা। সেকারণেই ‘অনুস্বর’ সাহিত্য নিয়ে কাজ করুক- এই দাবিটি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে উত্থাপিত হয়ে আসছিল। দীর্ঘদিনের সেসব দাবিই আমাদেরকে ‘অনুস্বর সাহিত্য’ নিয়ে পথে নেমে পড়বার সাহসটি জুগিয়েছে। তবে শুরুতেই আমরা বলে রাখতে চাই বাজারে অসংখ্য প্রচলিত সাহিত্য পত্রিকাগুলোর মতো ‘অনুস্বর সাহিত্য’ হবে না। ওর বাইরে কেমন হবে সে বৃত্তান্তে না গিয়ে বলি, অনুস্বর ম্যাগাজিনের মতো আমাদের এই পত্রিকাটিও নিজেকে একটি স্বতন্ত্র অবস্থানে দাঁড় করাবে। আর সেজন্যে চাই লেখক ও পাঠক-দুইয়েরই সহযোগিতা।
‘অনুস্বর’ এর পরিচয়ে আমরা জানিয়েছিলাম এইটি অনুনাসিক বর্ণ। অনুনাসিক হলো নাক ব্যবহার করে যেসব বর্ণ উচ্চারণ করা হয়। না, নাসিকা কিংবা ব্যাকরণ তখন থেকে এখনও আমাদের বলবার জায়গা নয়। আমাদের জায়গাটি নিয়মতান্ত্রিকতা ও শুদ্ধতা। উচ্চারণের নিয়ম না মেনে অনুস্বর বর্ণটি বলতে গেলে বলাটা যেমন হয়ে উঠবে না তেমনি শুদ্ধও হবে না। ঠিক এই অশুদ্ধতার বিপরীতেই আমাদের অবস্থান। আমরা সকল অশুদ্ধতার বিপরীতে শুদ্ধতায় থাকতে চাই।
অনুস্বর স্বতন্ত্র কোনো বর্ণ নয়। ‘অ’ উচ্চারণে বিরতি বর্ণ। এর ব্যবহার অনুমোদিত। অনুমোদিত ব্যবহার চর্চা মানুষের মধ্যে সততা, সম্প্রীতি নির্মাণ করে। নিশ্চিত করে সুস্থ সুন্দর নিয়মতান্ত্রিক সমাজ। তৈরি করে নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ।
জীবনকে আবর্ত করে সৃষ্টিশীল রচনামাত্রই সাহিত্য। ‘অনুস্বর সাহিত্য’ সেই রচনাকে মূল্যায়ন করবে। কে লিখলেন সেটি মুখ্য নয়। সেকারণে আমাদের লক্ষ্যটি থাকবে উৎকৃষ্ট রচনাটি যেন প্রকাশ পায়। আমরা বর্তমান সংখ্যা থেকেই এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবার প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করেছি।
এ সংখ্যায় বেশ ক’জন প্রতিষ্ঠিত লেখক লিখেছেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অপেক্ষাকৃত নবীন বেশ কয়েকজন। পশ্চিম বাংলা থেকেও অনেকে লেখা পাঠিয়ে সংখ্যাটিকে ঋদ্ধ করেছেন। তাঁদেরকে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আশা করছি তাঁরা এভাবেই আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
সকল লেখক ও পাঠকদেরকে ‘অনুস্বর সাহিত্য’-এ স্বাগতম।
মুবিন খান তিন দশক আগে ছাত্রজীবনে সংবাদপত্রে কাজ করতে শুরু করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিককে তিনি কাজ করেছেন। মাঝে বছর দশক দেশের বাইরে ছিলেন। বিদেশে বসেই নিউ ইয়র্কের বাংলা পত্রিকা রূপসী বাংলায় নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। এখনো সে দায়িত্বটি পালন করছেন।